Class 6 Bangla Assignment 9th Week
নিজের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অথবা কারো কাছ থেকে শোনা একটি ভ্রমণ কাহিনীর বর্ণনা দিয়ে ১৫০ শব্দের মধ্যে একটি নিবন্ধ রচনা করো।
অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্দেশনাঃ তোমার পাঠ্য বইয়ের ১৪ পৃষ্ঠার নীলনদ আর পিরামিডের দেশ নামক ভ্রমণ কাহিনীটি পড়বে।
ভ্রমণ কাহিনীর বর্ণনা দিয়ে ১৫০ শব্দের মধ্যে একটি নিবন্ধ রচনা
প্রত্যেক বছর কোথাও-না-কোথাও ব্যস্ত জীবন থেকে কিছুদিনের মুক্তি খুঁজে নেওয়ার উদ্দেশ্যে আমি
ছুটে যাই। তেমনই আমার এই বছরের ভ্রমণ গন্তব্য মোহমর়ী সুন্দরবন। আমাদের গন্তব্য সুন্দরবনের
যাত্রা শুরু হয় শিয়ালদা স্টেশন থেকে। এইখান থেকে লোকাল ট্রেনে চেপে ক্যানিং স্টেশন হয়ে বাস
কিংবা অটোতে আমরা পৌছে গেছিলাম সোনাখালি লঞ্চঘাট। সেখান থেকে লঞ্চে করে সুন্দরবনের
বুকে একটু একটু করে আমাদের প্রবেশ শুরু। লঞ্চে ওঠার পর থেকেই মুহূর্তে মুহূর্তে চারপাশের দৃশ্য
বদলে যেতে থাকে
বেশ খানিকটা যাওয়ার পর দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের নাম-না-জানা গাছ , পাখিদের মিষ্টি আওয়াজ
নদীর দুপাশ থেকে কানে ভেসে আসে। লঞ্চ থেকে জলের দিকে চোখ পড়তেই দেখতে পেলাম বিখ্যাত
গাঙ্গেয় ডলফিন বা চলতি ভাষায় যাকে বলা হয় শুশুক। তারপর লঞ্চ থেকে যখন নামলাম তখন
সূর্য প্রায় পশ্চিম গগনে ঢলে পড়ার মুখে। শীতের দিন বলে একটু শীত শীত করতে লাগলো।
সুন্দরবন প্রাককাতক বোচত্রে ভরপুর। আমাদের যে গাইড তার কাছ থেকেহ জানতে পারলাম ভারত-
বাংলাদেশ এই দুই দেশ জুড়ে বিস্তৃত সুন্দরবনে প্রায় ৩৫০ প্রজাতির উদ্ভিদ পাওয়া যায়। এর মধ্যে
অধিকাংশই ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ। পৌঁছনোর পরেরদিন জঙ্গল সাফারিতে বেরিয়ে দেখতে পেলাম
নিজের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অথবা কারো কাছ থেকে শোনা একটি ভ্রমণ কাহিনীর বর্ণনা দিয়ে ১৫০ শব্দের মধ্যে একটি নিবন্ধ রচনা করো।
অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্দেশনাঃ তোমার পাঠ্য বইয়ের ১৪ পৃষ্ঠার নীলনদ আর পিরামিডের দেশ নামক ভ্রমণ কাহিনীটি পড়বে।
ঘন বনের ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো এসে পড়েছে মাটিতে।
বিভিন্ন নাম না জানা গাছ , পাখিদের আওয়াজ আর অদ্ভুত এক মায়াবী নিস্তত্ধতা সমগ্র প্রকৃতিকে
যেন ঘিরে রেখেছে। এরইমধ্যে শ্বাসসূল আর ঠেস মূল যুক্ত গাছগুলি পরিবেশকে আরো মায়াবী করে
তুলেছে। পথে চলতে চলতে চোখে পড়ল বাভন্ন ধরনের অত্যন্ত সুন্দর সুন্পর সব ফুল আর লতা
গুল্প। গাইডের থেকে শুনলাম এই জঙ্গলে বহু ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ পাওয়া যায়। সবচেয়ে
মনমুদ্ধকর গাছ গুলির মধ্যে চোখে পড়ল বিখ্যাত সুন্দরী, গরান ও গেওয়া গাছ।
সুন্দরবনের জঙ্গলের আরেকটি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো এখানকার প্রাণীকুল।
সুন্দরবনের স্থলভাগ বিভিন্ন ধরনের প্রাণীদের স্বর্গরাজ্য। এদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো
রয়েল বেঙ্গল টাইগার। যদিও বর্তমানে বাঘের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ার দরুন সহজে
বাঘ চোখে পড়ে না।
জঙ্গল সাফানরর প্রথম [দিনে আমরাও বাঘ দেখতে পাইনি। তবে চোখে যা পড়োছিল তা কোনো অংশে
কম নয়। দূর থেকে আমরা দেখেছিলাম সুন্দরবনের বিখ্যাত চিত্রা হরিণের পাল জল খেতে এসেছে
নদীর ধারে; গাছের ভাল থেকে উড়ে যাচ্ছে অদ্ভুত সুন্দর রঙের পাখিরা। এছাড়া চোখে পড়ল গোসাপ,
বন বড়াল আরো কত 1ক। চলতে চলতে লোকমুখে জানতে পারলাম সুন্দরবনের জঙ্গলে অত্যন্ত
সুদশন কিন্ত ভয়ংকর বষাক্ত বহু সাপ রয়েছে। তাদের থেকে সাবধান থাকার জন্য ভ্রমণের সময়
সঙ্গে গাইড এবং কার্বলিক তআ্যাসিভ রাখা বাধ্যতামূলক। বাঙালি একদিকে যেমন ভ্রমণপিপাসু &
আরেকদিকে তেমন খাদ্যরসিকও বটে। তাই ভ্রমণে গিয়ে স্থানীয় রসনার স্বাদ না নিলে সেই ভ্রমণ
অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই উদ্দেশ্যেই সুন্দরবনের বিভিন্ন খাবার চেখে দেখতে গিয়ে অভিভূত হয়ে
পড়লাম।