Twitter marketing How do It Possible

 

টুইটার মার্কেটিং: ১২টি টিপস যা আপনার কাজে আসবেই!
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য টুইটার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তবে একটি টুইটের গড় আয়ু মাত্র ১৮ মিনিট। ফেসবুক পোস্টের থেকে টুইটারে পোস্টের আয়ু চারগুণ কম। তাই আপনার টুইট ও টুইটার মার্কেটিংয়ের (Twitter Marketing) পদ্ধতি অনেক বেশি শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। এখানে আমরা টুইটার মার্কেটিংয়ের ১২টি সেরা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব।
১) সঠিক টুইটার হ্যান্ডেল/ প্রোফাইল ফোটো/ হেডার ফোটো নির্বাচন-
আপনাকে এমন একটি টুইটার হ্যান্ডেল বাছতে হবে যেটিকে ক্রেতারা সহজে মনে রাখতে পারে, বাকিদের থেকে আলাদা করতে পারে। এবং অবশ্যই সেটিকে ছোটো হতে হবে। চেষ্টা করবেন সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় যেন আপনার একরকম নাম থাকে। আপনার প্রোফাইল পিকচারে কোম্পানির লোগো ব্যবহার করুন। এতে মানুষ কোম্পানিটি বেশি ভালোভাবে চিনবে।
২) ব্র্যান্ড পার্সোনালিটি দেখানোর জন্য বায়ো অপটিমাইজ করুন-
বায়োতে ছোটো করে লিখুন আপনি কে, কী করেন, আপনার কোম্পানির নাম কী, কার সঙ্গে আপনি এই কোম্পানি শুরু করেছেন ইত্যাদি। আপনার ব্র্যান্ডটি ঠিক কীসের তা পরিষ্কারভাবে লিখুন। কতজন গ্রাহক আছে সেটা উল্লেখ করতে পারেন। অন্য কোনও ব্র্যন্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকলে সেগুলিকে ট্যাগ করুন। প্রয়োজনীয় হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন। (Twitter Marketing)
৩) ‘পিক আওয়ার’-এ টুইট করুন (Twitter Marketing) –
আপনাকে দেখতে হবে সপ্তাহের কোন দিন বা দিনের কোনও নির্দিষ্ট সময়ে টুইটারে ইউজাররা বেশি অ্যাকটিভ থাকে। সেই সময় কোনও কিছু পোস্ট করলে তা বেশি মানুষের কাছে পৌঁছোবে। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, বাকি দিনগুলির তুলনায় শুক্রবার, শনিবার, ও রবিবার করা টুইটগুলির সিটিআরএস অনেক বেশি থাকে। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কোনও কিছু পোস্ট করার সেরা সময়। আবার কয়েকজনের মতে, সোমবার-শুক্রবার পর্যন্ত দুপুর ১২টা ও দুপুর ৩টেয় কোনও কিছু পোস্ট করলে তা বেশি ছড়িয়ে পড়ে।
৪) হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন (Twitter Marketing) –
একটি সঠিক হ্যাশট্যাগ কোনও পোস্টের এনগেজমেন্টকে দ্বিগুণ করে দেয়। তবে দু’টোর বেশি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করলে এনগেজমেন্ট ১৭ শতাংশ কমে যায়। তাই আপনার পোস্টের জন্য প্রয়োজনীয় সঠিক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে টুইটার অ্যানালিটিকের মাধ্যমে সেরা হ্যাশট্যাগগুলি দেখে নিতে পারেন। অথবা হ্যাশট্যাগিফাই টুলও ব্যবহার করতে পারেন।
৫) অ্যাজভানসড সার্চেস (Twitter Marketing) –
কোনও কিছু পোস্ট করার আগেই যদি আপনি জানেন আপনার ব্র্যান্ড বা জিনিসের প্রতি কারা বেশি আগ্রহী তাহলে আপনার টুইটার মার্কেটিংয়ের কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। উদাহরণ- ধরুন আপনার বেকারি রয়েছে। টুইটার অ্যাডভানসড সার্চের মাধ্যমে বেকারি বা কেক লিখে সার্চ করে নিন। এর ফলে আপনার এলাকায় কারা কেকের খোঁজ করতে বা বেকারির অন্যান্য জিনিসের প্রতি আগ্রহী সেই সংক্রান্ত সঠিক তথ্য আপনার কাছে চলে আসবে।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সার্টিফিকেট, ১৯,৮০০ টাকার কোর্স সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। রেজিস্ট্রেশন করুন।
৬) রিটুইট বাড়ানোর জন্য টুইট-এ ছবি ব্যবহার করুন-
টইটার পোস্টে ছবি ব্যবহার করলে অনেক ৮৯ শতাংশ বেশি লাইক ও শেয়ার হয়। তাই পোস্টের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ছবি পোস্ট করুন। বিভিন্ন ডিসকাউন্ট বা স্পেশাল অফারের গ্রাফিক্স করেও পোস্ট করতে পারেন।
৭) টুইটার ভিডিও ব্যবহার করুন-
সাধারণ টেক্সটের থেকে যেমন ছবি ভালো, আবার ছবিকেও ছাপিয়ে যায় ভিডিও। অ্যাডউইকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একটি ভিডিও পোস্ট ছবির পোস্টের থেকে ছ’গুণ বেশি রিটুইট হয় ও একটি ছবির পোস্ট জিআইএফ পোস্টের থেকে ৩ গুণ বেশি রিটুইট হয়।
৮) পোল তৈরি করে ফলোয়ারদের যুক্ত করুন-
আপনার পেজে এনগেজমেন্ট বাড়ানোর ক্ষেত্রে পোল একটি অতি সহজ উপায়। অ্যাড টু নিউ টুইটে ক্লিক করে পোল আইকনে ক্লিক করুন। তারপর প্রয়োজনীর প্রশ্ন লিখে দিন। আর ফলে ইউজার এনগেজমেন্ট বাড়বে। পাশাপাশি মার্কেট রিসার্চ, ফিডব্যাক, কনজিউমার রিসার্চও হবে। অন্যান্য সফল ব্র্যান্ডগুলি কীরকম পোল করছে সেগুলি নজরে রাখতে পারেন।
৯) ক্রিয়েটিভ সিটিএ ব্যবহার করুন-
টুইটার মার্কেটিংয়ের অন্যতম লক্ষ হল সেল বাড়ানো, লিড তৈরি, ক্লিক বুস্ট করা, ডাউনলোড বাড়ানো। আপনি কিছু সহজ সিটিএ ব্যবহার করে ইউজার এনগেজমেন্টকে আরও বাড়াতে পারেন। সেক্ষেত্রে কিছু শব্দ আপনার খুবই কাজে আসবে। যেমন- ফলো আস, ভিজিট আওয়ার সাইট, শপ আওয়ার সেলস, ডাউনলোড হিয়ার, লার্ন মোর, শপ নাও। ‘ফ্রি’ শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
নিজেই বানান ওয়েবসাইট (স্টেপ বাই স্টেপ গাইড): পর্ব-১
১০) টুইটারে এ/বি টেস্টিংয়ের মাধ্যমে শিরোনাম পরীক্ষা করুন
টুইটারে শিরোনাম পরীক্ষা করার অন্যতম সেরা জায়গা। টুইরয়েডের মাধ্যমে দেখে নিন দিনের কখন সবচেয়ে বেশি ইউজার অনলাইন রয়েছে। তখন ৪-৫টি শিরোনাম ট্র্যাকেবল লিঙ্ক সহকারে পোস্ট করুন। অপটিমাইজলি-র মাধ্যমে সেগুলিকে ট্র্যাক করুন। কোনটি মানুষের বেশি পছন্দ হচ্ছে তার তথ্য সহজেই পেয়ে যাবেন।
১১) প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন
প্রভাবশালীদের মাধ্যমে নিজের কোম্পানির প্রোমোশন করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সারদের ফলোয়ার সংখ্যা বেশি হওয়ায় আপনার ব্র্যান্ড বেশি মানুষের কাছে পৌঁছোবে। এর জন্য আপনাকে কিছু অর্থ ব্যয়ও করতে হতে পারে।
১২) টুইটার বিজ্ঞাপন-
টুইটারে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। তবে ফেসবুকের থেকে টুইটারে বিজ্ঞাপন দেওয়া বেশি খরচ সাপেক্ষ। কিন্তু আপনার পোস্ট বা ইউজার বুস্টের ক্ষেত্রে এটা খুবই উপযোগী।
শেষ কথা:
ব্র্যান্ড সেচেতনতা বাড়ানো ও ইউজার এনগেজমেন্ট বাড়ানোর জন্য টুইটার হল একটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। কিন্তু অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলির থেকে এখানকার পোস্ট খুব তাড়াতাড়ি পুরোনো হয়ে যায়। তাই খুব অল্প সময়ের মধ্যে মানুষের মনের কাছে পৌঁছে যেতে আপনাকে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আসতেই হবে। (Twitter Marketing)

Anisur Rahman Niloy
Entrepreneur
CATEGORIES
Share This

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus (0 )